Dark Web

Posted on March 18, 2025 by Foysal Mahmud

ডার্ক ওয়েব: অজানা জগতের গোপন সত্য

🔥 ডার্ক ওয়েব কী? মিথ নাকি বাস্তবতা?

ইন্টারনেটের একটা অংশ আছে, যা সাধারণ ব্রাউজারে দেখা যায় না—যেখানে Google, Facebook, YouTube-এর কোনো প্রবেশাধিকার নেই। এটিই ডার্ক ওয়েব (Dark Web)। কেউ বলে এটা হ্যাকারদের স্বর্গরাজ্য, কেউ বলে গোপন তথ্য আদান-প্রদানের নিরাপদ মাধ্যম। কিন্তু আসল সত্য কী?

আজকের ব্লগে আমরা জানব—ডার্ক ওয়েব কীভাবে কাজ করে, এর ভালো-মন্দ দিক, এবং কীভাবে নিরাপদে থাকা যায়।


🌐 ডার্ক ওয়েব বনাম ডীপ ওয়েব: পার্থক্য কী?

অনেকেই ডীপ ওয়েব (Deep Web) আর ডার্ক ওয়েব (Dark Web) কে এক মনে করে, কিন্তু দুটো এক নয়—

ডীপ ওয়েব: এটি সাধারণ ইন্টারনেটের লুকানো অংশ, যেখানে ব্যক্তিগত ডেটা থাকে। যেমনঃ

◾ ব্যাংকের অনলাইন অ্যাকাউন্ট

◾ মেম্বারশিপ ওয়েবসাইট

◾ মেডিকেল রেকর্ড

ডার্ক ওয়েব: এটি ডীপ ওয়েবেরই ছোট অংশ, যা Tor Browser বা I2P ছাড়া অ্যাক্সেস করা যায় না। এখানে কিছু অবৈধ কার্যক্রম হয়, আবার কিছু লিগ্যাল কাজও হয়।


🔍 ডার্ক ওয়েব কীভাবে কাজ করে?

✔️ Tor (The Onion Router):

ডার্ক ওয়েবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার, যা ইউজারকে এনক্রিপ্টেড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গোপন রাখে।

এটি .onion ডোমেইন ব্যবহার করে, যা সাধারণ ব্রাউজারে খোলা যায় না।

✔️ I2P (Invisible Internet Project):

Tor-এর মতোই এনক্রিপ্টেড, তবে আরও বেশি প্রাইভেট এবং সিকিউর।

⚠️ সতর্কতা: Tor ব্যবহার করলেই কেউ ১০০% অ্যানোনিমাস (Anonymous) হয়ে যায় না। যদি অসতর্ক হও, তবে তোমার পরিচয় ফাঁস হয়ে যেতে পারে।


🦝 ডার্ক ওয়েব: মিথ বনাম বাস্তবতা

❌ মিথ: ডার্ক ওয়েবে ঢুকলেই হ্যাক হয়ে যাবে।

✅ বাস্তবতা: ডার্ক ওয়েবে ঢোকা অপরাধ নয়, কিন্তু অসতর্ক হলে ফাঁদে পড়তে পারো।

❌ মিথ: এখানে সবাই হ্যাকার।

✅ বাস্তবতা: এখানে হ্যাকার আছে, তবে সাংবাদিক, গবেষক এবং সাধারণ ব্যবহারকারীরাও আছেন।

❌ মিথ: ডার্ক ওয়েব ১০০% নিরাপদ।

✅ বাস্তবতা: অনেক স্ক্যাম (Scam) ও ফিশিং সাইট আছে, যা ইউজারদের তথ্য চুরি করতে পারে।


🛑 ডার্ক ওয়েবের ভালো এবং খারাপ দিক

✔️ ভালো দিক:

সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের নিরাপত্তা: কিছু দেশ সেন্সরশিপ এড়াতে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে।

Whistleblower প্ল্যাটফর্ম: যেখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করা হয় (যেমন WikiLeaks)।

সাইবার সিকিউরিটি গবেষণা: হ্যাকারদের কার্যকলাপ বোঝার জন্য এটি দরকারি।

❌ খারাপ দিক:

অবৈধ মার্কেটপ্লেস: অস্ত্র, ড্রাগ, স্টোলেন ডাটা কেনাবেচার জন্য কিছু জায়গায় ব্যবহৃত হয়।

ডিপ ফেইক ও স্ক্যাম: ব্যক্তিগত তথ্য চুরি বা ব্ল্যাকমেইলের জন্য ব্যবহৃত হয়।

হ্যাকিং সার্ভিস: কিছু ফোরামে অবৈধ কাজের জন্য হ্যাকার ভাড়া পাওয়া যায়।

⚠️ সতর্কতা: ডার্ক ওয়েব নিজে থেকে বিপজ্জনক নয়, তবে সেখানে ভুল পদক্ষেপ বিপদ ডেকে আনতে পারে।


🔒 কীভাবে নিরাপদ থাকবে?

◾ Tor-এর পাশাপাশি VPN ব্যবহার করো।

◾ কখনো ব্যক্তিগত তথ্য বা পাসওয়ার্ড শেয়ার করো না।

◾ অজানা লিংকে ক্লিক করো না, কারণ এতে স্ক্যাম থাকতে পারে।

◾ ডার্ক ওয়েবের কোনো অবৈধ কার্যক্রমে অংশ নিও না।


🚀 উপসংহার

ডার্ক ওয়েব এক রহস্যময় জগত—যেখানে ভালো-মন্দ দুটোই আছে। এটি শুধুমাত্র হ্যাকারদের জায়গা নয়, বরং এটি সাইবার নিরাপত্তা গবেষক, সাংবাদিক, এবং তথ্য সুরক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবে অসতর্ক হলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।


🔒 “Stay Safe, Stay Secure!”


Author: Foysal Mahmud

Blog: Foysal's blog

4676