ফিলিস্তিনের রক্তে রঞ্জিত মানবতা: ইসরায়েলের বর্বরতা ও মুসলিম বিশ্বের করণীয়

মানবতা আজ রক্তাক্ত। ফিলিস্তিনের নিষ্পাপ শিশুরা মাটির নিচে চাপা পড়ছে, মায়ের কোল খালি হচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে আর্তনাদ উঠছে, কিন্তু তথাকথিত সভ্য বিশ্ব নীরব দর্শক! ইসরায়েলের বর্বর হামলা প্রতিদিন অসংখ্য নিরপরাধ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে, অথচ বিশ্ব মোড়লরা মানবাধিকারের বুলি আওড়িয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।

ইসরায়েলের অপরাধ: ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম গণহত্যা

এই আধুনিক যুগেও এক দেশ প্রকাশ্যে আরেকটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করছে! স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ—সবকিছুই ইসরায়েলি বর্বরতার শিকার। জাতিসংঘের হাজারো প্রস্তাব ধুলিসাৎ করে ইসরায়েল অবৈধভাবে ফিলিস্তিনের ভূমি গ্রাস করছে। যেকোনো সাধারণ বিবেকবান মানুষ জানে, এটি নিছক যুদ্ধ নয়—এটি একটি সুপরিকল্পিত গণহত্যা।

বিশ্ব মুসলিমের করণীয়: একতাবদ্ধ প্রতিরোধের সময় এখন!

যখন একের পর এক মুসলিম দেশ ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তখন কি আমরা চুপচাপ বসে থাকব? মুসলিম বিশ্বের এই দুর্বলতা, এই নীরবতা, এই দ্বিধাদ্বন্দ্বই ইসরায়েলকে আরও বেপরোয়া করে তুলছে! আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী না হই, তবে আগামীতে মুসলিম জাতির জন্য অপেক্ষা করছে আরও ভয়াবহ পরিণতি।

বর্জনই ন্যূনতম প্রতিরোধ

ইসরায়েলি পণ্য ও তাদের সমর্থকদের বর্জন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মুসলিম বিশ্বের হাতে অঢেল সম্পদ থাকলেও, আমরা যদি সেই সম্পদ দিয়ে তাদের অর্থনৈতিকভাবে পুষ্ট করি, তাহলে আমাদের বিবেক কোথায়? আমাদের প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী, নেতা—সবার উচিত সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

ইসলামের শিক্ষা: ন্যায়ের পক্ষে রুখে দাঁড়ানো

ইসলাম কখনোই অন্যায় সহ্য করে না। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন— “যে ব্যক্তি অন্যায় দেখেও তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে না, সে নিজেও সেই অন্যায়ের অংশীদার।” আজ আমাদের হাত, আমাদের কণ্ঠ, আমাদের কলম, আমাদের সম্পদ—সবকিছু দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

শেষ কথা

ইসরায়েলের এ আগ্রাসন যদি এখনই থামানো না যায়, তবে বিশ্ব আরও অশান্তির দিকে ধাবিত হবে। মুসলিম বিশ্বকে আর চুপ থাকার সুযোগ নেই। এখনই সময় আমাদের শক্তিশালী হওয়ার, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, এবং এই অবিচারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলার। কারণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিরবতা মানেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া!

“ফিলিস্তিনের প্রতিটি রক্তবিন্দুর হিসাব একদিন হবে—ইনশাআল্লাহ, জুলুম চিরস্থায়ী নয়! মুসলিম উম্মাহ জাগলে ইসরায়েলের অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হবে!”

---

---